পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে।
সুর্যোদয়ের সাথে সাথে একাডেমীর প্রশাসনিক ভবনের সামনে আরডিএ, বগুড়ার সন্মানিত অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্মানিত উপ-সচিব জনাব সুফিয়া নাজিম কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করনের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। সকাল ৬.৩০ এ তার নেতৃত্বে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে শোক র্যালী আয়োজন করা হয় এবং জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে একাডেমী কর্তৃক গৃহিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে “বঙ্গবন্ধুঃ স্বাধীনতার রূপকার” শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন একাডেমীর পরিচালক, প্রশিক্ষণ ড. সমীর কুমার সরকার। প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন আরডিএ, বগুড়ার শ্রদ্ধেয় মহাপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ আফজাল হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সুখী সুন্দর বাংলাদেশ নির্মাণ। ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালে সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করতে সপরিবারে তাঁকে হত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বরচিত ঘটনার জন্ম দেয়া হয়। জাতির জন্য এটি ছিল অপূরনীয় এক ক্ষতি। পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া জাতির পিতার স্বপ্ন পূরনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কন্ঠ মিলিয়ে তিনি শোককে শক্তিতে পরিনত করে দৃঢ় চিত্তে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান । আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন আরডিএ, বগুড়ার সন্মানিত অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্মানিত উপ-সচিব জনাব সুফিয়া নাজিম। এছাড়াও আলোচনা সভায় একাডেমীর সকল পরিচালক, অনুষদ সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে আরডিএ বগুড়া কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে আম, পেয়ারা, লেবু ও জাম গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিআরডিবি, সমবায়, পিডিবিএফ, এসএফডিএফ ও এবিএকে প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিদের মাঝে ১২ হাজার ফলজ গাছের চারা প্রদান করা হয়।
এরপর বাদ যোহর একাডেমী জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত এর আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ল্যাবঃ স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, অন্যান্য প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, সিক্রেট ডকুমেন্ট অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দি নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার দেখা নয়া চীন ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক শিশুদের জন্য প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক ২৬টি গ্রন্হসমূহ থেকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।