আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩। দিবসটি উপলক্ষে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ),বগুড়ার পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।সকাল ৬:৩৪ মিনিটে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একাডেমির প্রশাসনিক ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন (অর্ধনমিত) এর মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। সকাল ৮:৩০ মিনিটে কালো ব্যাচ পরিধান ও স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শহিদমিনার পর্যন্ত প্রভাতফেরির আয়োজন করা হয়। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়ার সম্মানিত মহাপরিচালক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব খলিল আহমদ একাডেমির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে একাডেমির বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা, চলমান বিভিন্ন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ এবং পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক, ছাত্র,অভিভাবক সহ সর্বস্তরের জনগণ শহিদ মিনারে মহান ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর একাডেমির শহিদমিনারে মহান মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনী হতে পাঠ, কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহাপরিচালক মহোদয় মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক পটভূমি তুলে ধরার পাশাপাশি জাতীয় জীবনে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন,১৯৫২ সালের সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরো বলেন ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই নিহিত ছিল বাঙালি জাতির স্বাধীনতার বীজ, এর মাধ্যমেই বিকশিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার। এ সময় তিনি ভাষা শহীদ রফিক, সালাম,বরকত, জব্বার, শফিউর সহ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করা ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।