“সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ”-আমার গ্রাম-আমার শহর বিনির্মাণে আরডিএ কর্তৃক প্রণীত গবেষণা প্রতিবেদন সেমিনার স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এর সম্মেলন কক্ষে ২৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব স্বপন ভট্টাচার্য্য, এমপি। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এর সচিব জনাব মো: রেজাউল আহসান। সেমিনারে আমার গ্রাম-আমার শহর এর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম (অতিরিক্ত সচিব), মহাপরিচালক, আরডিএ, বগুড়া। এছাড়াও, আমার গ্রাম-আমার শহর কনসেপ্টে নির্মিত একটি এ্যানিমেশন ফিল্ম উপস্থাপন করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আরডিএ, বগুড়ার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরবর্তিতে সিরডাপে সেমিনার আয়োজনের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
সেমিনারে বাপার্ড এর মহাপরিচালক জনাব শেখ মো: মনিরুজ্জামান, বার্ড এর পরিচালক ড. মো: শফিকুল ইসলামসহ বাপার্ড, বার্ড, আরডিএ, বগুডা’র পরিচালক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থা, গ্রামীন নিরাপদ পানি ব্যবস্থা, গ্রামীন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, গ্রামীন তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, গ্রামীন বাসস্থান, সেনিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, গ্রামীন শিক্ষা ব্যবস্থা, : গ্রামীন স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা, গ্রামীন জনগোষ্ঠির আর্থিক সেবা খাতে অর্ন্তভুক্তি , গ্রামীন সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক পরিষেবা, গ্রামীন উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান, গ্রামীন বাজার ব্যবস্থা, গ্রামীন নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থা, গ্রামীন সামাজিক নিরাপত্তা, গ্রামীন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, গ্রামীন শিশু ও নারী উন্নয়ন, গ্রামীন মানব সম্পদ উন্নয়ন, গ্রামীন যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন বিষয়সমূহ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। উল্রেখ্য, গবেষণাটি গুণবাচক পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হয়েছে। এ গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্ব উন্নয়ন সূচক অনুসারে বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজকে বিশ্লেষণ করার জন্য উপরিউক্ত ১৭টি সেক্টরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গবেষণা এলাকা হিসেবে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার চকপাথালিয়া গ্রাম থেকে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এফজিডি, পিআরএ, নিবিড় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়।