* ৬ষ্ঠ ধাপে “D”-টাইপ ফ্ল্যাট বরাদ্দের প্রাথমিক উপকারভোগীর তালিকা (রংপুর বিভাগ) ০৫ জন
* উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে বরাদ্দপ্রাপ্ত ফ্ল্যাট নাম্বারের তালিকা (ফ্ল্যাট টাইপে ক্লিক করুন)
১. `A’ –টাইপ (ফ্ল্যাটের সংখ্যা: ৬৪টি)
২. `B’ –টাইপ (ফ্ল্যাটের সংখ্যা: ৯৬টি)
৩. `C’ –টাইপ (ফ্ল্যাটের সংখ্যা: ৩২টি)
৪. `D’ –টাইপ (ফ্ল্যাটের সংখ্যা: ৭৬টি)
৫. `D’ –টাইপ (৫ম ধাপ: ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১৪টি)
* ‘পল্লী জনপদ’ প্রকল্পের রংপুর বিভাগের রংপুর সিটি কর্পোরেশনভুক্ত পান্ডারদিঘী, নিয়ামত মৌজার অর্ন্তগত উপ-প্রকল্পে প্রাথমিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রাপ্ত উপকারভোগীর তালিকা:
Research Paper on PalliJanapad Rural Housing...
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভার কার্যবিবরণীসমূহ:
১। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ৪র্থ ও ৫ম সভার কার্যবিবরণী।
২। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ৬ষ্ঠ সভার কার্যবিবরণী।
৩। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ৮ম ও ৯ম সভার কার্যবিবরণী।
ভূমিকা
কৃষি জমি অপচয় রোধ ও ‘‘পল্লীবাসীর জন্য উন্নত আবাসন’’ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া ‘‘গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং আধুনিক নাগরিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সমবায়ভিত্তিক বহুতল ভবন বিশিষ্ট ‘পল্লী জনপদ’ নির্মাণ’’ শীর্ষক প্রায়োগিক গবেষণা চলমান প্রকল্প। প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৪ হতে জুন, ২০২২ মেয়াদে মোট ২৪৭৩০.৬২ লক্ষ (জিওবি ২১৪১৯.৭২ ও সুফলভোগীর অংশ ৩৩১০.৯০ লক্ষ) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পটভুমি
জনবহুল বাংলাদেশ কৃষি জমির পরিমাণ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে হ্রাস পাচ্ছে। কৃষি নির্ভর এদেশে জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমি ক্ষয় ইত্যাদি কারণে আবাদী জমির ওপর একদিকে যেমন চাপ পড়ছে অপরদিকে তেমনিভাবে রাসায়নিক ও ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহারের ফলে জমির উৎপাদন ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। কৃষি জমির এ অপচয় রোধ একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কৃষি জমি পুনরুদ্ধার/অপচয় রোধের লক্ষ্যে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে কৃষি কাজের জন্য জমি পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়বে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প ব্যয়ে বহুতল বিশিষ্ট আবাসন সুবিধাদি নির্মাণসহ একইস্থানে কৃষি কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্ত “কৃষি জমি অপচয়রোধ এবং জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমবায় ভিত্তিক বহুতল ভবন ‘পল্লী জনপদ’ নির্মাণ সংক্রান্ত প্রায়োগিক গবেষণা” শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য:
কৃষি জমি অপচয় রোধ, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উন্নত আবাসনের সুযোগ সৃষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যবলী নিম্নরুপঃ
(ক) পল্লী এলাকায় আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ও জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন;
(খ) পল্লীবাসী একত্রে বসবাসের গ্রোথ সেন্টার পর্যায়ে স্বল্প ব্যয়ে চার তলা বিশিষ্ট ৩টি (রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগ) পল্লী হাউজিং (প্রতিটিতে ২৭২টি পরিবারের জন্য মোট ২৭২ x ৩ = ৮১৬টি পরিবার) নির্মাণ;
(গ) সৌর শক্তির নির্ভর পানি সরবরাহ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা;
(ঘ) আরডিএ ঋণ কার্যক্রমের আওতায় কৃষি এবং অকৃষি খাতে উপকারভোগীদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিতকরণসহ অতিরিক্ত কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন করা।
প্রকল্প এলাকা : দেশের সাত বিভাগে একটি করে মোট ০৩ টি এলাকায় পাইলট আকারে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্প সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন (গত ১৯ আগষ্ট, ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত একনেক সভা)
কৃষি জমির অপচয় রোধ ও জৈব পদার্থ বৃদ্ধিকল্পে সমবায় ভিত্তিক ভবন নির্মাণ বিষয়ক প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপিত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ বাংলাদেশের উন্নয়নে এ ধারণাটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই বিবেচনায় তিনি প্রকল্পটির নামকরণ করেন ‘পল্লী জনপদ’। প্রকল্পটি সম্পর্কে তিনি বলেন যে, ১৯৬৯ সালের বঙ্গবন্ধু যখন যুক্তরাজ্য সফরে গিয়েছিলেন সেখানে তিনি মডেল ভিলেজ পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশেও তিনি উক্ত মডেল ভিলেজ কনসেপ্টটি বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মডেল ভিলেজটি ছিল এমন যেখানে হাইওয়ের একপাশে চাষাবাদের ব্যবস্থা থাকবে এবং অপর পাশে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বাড়ী-ঘর থাকবে। ১৯৯৬ সালে মূলতঃ উক্ত মডেল ভিলেজ কনসেপ্টটির উপর ভিত্তি করেই আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের ভবন ৬তলার পরিবর্তে ৪তলা করতে হবে যেন সকল বয়সের লোক উঠা-নামা করতে পারে। তিনি আরো বলেন, ভবনের দরজা ও জানালায় পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও আলোচ্য প্রকল্পের ফ্ল্যাট বাড়ীগুলো সমবায় ভিত্তিক হবে এবং এর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। প্রকল্পের আওতায় আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ড হতে যে আয় হবে তার কিছু অংশ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, এখানে সেখানে জমি ক্রয় করে শিল্প কারখানা করা হচ্ছে যা অপরিকল্পিত। এতে জমির অপচয় হচ্ছে। এজন্য বঙ্গবন্ধু বিসিক শিল্পনগরী করার উদ্যোগ নেন। একটি নির্ধারিত স্থান হতে যাতে গ্রামীণ সকল সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে সেজন্য ‘ইউনিয়ন কমপ্লেক্স’ নির্মাণ করা হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে জমি ক্রয় করে বাড়ী-ঘর নির্মাণ করাকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। কৃষি জমি অপচয় রোধকল্পে মডেল প্লান করতে হবে; যাতে গ্রামীণ আবাসন ও শিল্প কারখানা স্থাপনে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকবে। তিনি আরো বলেন যে, আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ আবাসনের ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সমবায় ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। প্রকল্প এলাকায় গবাদীপশুর খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, মৎস্য চাষ, শাক-সব্জি আবাদের সুযোগ থাকতে হবে। এ সকল কর্মকান্ড হতে অর্জিত মুনাফা সকল সদস্যগণের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে বিলি-বন্টনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
সুবিধাভোগী নির্বাচন কৌশল |
|
জমিদাতা যারা নূন্যতম ৫ শতাংশ জমি প্রকল্পের জন্য প্রদান করেছেন; |
পার্শ্ববর্তী উপজেলার অধিবাসী; |
প্রকল্প বাস্তবায়ন কৌশল
আরডিএ ক্রেডিট কর্মসূচী
প্রকল্প এলাকার আর্থ-সমাজিক ও জীবন যাত্রার মানান্নয়নের লক্ষে বিভিন্ন আয়-বর্ধনমূলক কর্মকান্ড ভিত্তিক (হাঁস-মুরগী পালন, গবাদিপশু পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, মৎস্য চাষ, নার্সারী স্থাপন, ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন ইত্যাদি) প্রশিক্ষনোত্তর আরডিএ ক্রেডিট কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ থাকবে। প্রশিক্ষণ সহায়ক এ ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোক্তা উন্নয়নসহ অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি পাবে। ইহা একটি গবেষণামূলক কার্যক্রম যেখানে এলাকার সুফলভোগী জনগোষ্ঠী পল্লী জনপদের অপরিশোধিত অর্থ পরিশোধের সক্ষমতা অর্জনসহ পল্লী জনপদের পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষণ ব্যয়ও নির্বাহ করে উন্নত জীবন-যাপন করতে পারবে।
পল্লী জনপদের বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাটের বিবরণঃ
গ্রামের মানুষের আর্থ-সমাজিক অবস্থা বিবেচনায় পল্লী জনপদে মোট চার ধরনের যেমন-এ, বি, সি এবং ডি টাইপ ফ্ল্যাট/ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে উচ্চ আয়ের মানুষ ফ্ল্যাট ক্রয়ের সুযোগ লাভ করতে পারে। পরবর্তী পৃষ্ঠায় ফ্ল্যাটের ধরন, আয়তন ও ব্যয় সম্পর্কীত তথ্যাদি উপস্থাপন করা হলো ।
প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিঃ
গত ১৬ জুন ২০২২ খ্রি. তারিখে মাানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে রংপুর বিভাগের পল্লী জনপদ ভবন শুভ উদ্বোধন করে ফ্লাট গ্রহীতাদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করেন।
ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাসপুর মৌজায় আড়পাড়া ও হরিদাসপু নামক স্থানে নির্মাণার্ধীন পল্লী জনপদ ভবন
রাজশাহী বিভাগের জন্য বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের জামালপুর মৌজায় নির্মাণার্ধীন পল্লী জনপদ ভবন
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ও বাস্তব অগ্রগতি জানতে ক্লিক করুন......