বাংলাদেশ সরকার ও এসডিসি’র অর্থায়নে মে ২০১৩ হতে ডিসেম্বর ২০১৯ মেয়াদী একটি বৈদেশীক সাহায্যপুষ্ট কারিগরি সহায়তাধর্মী চলমান প্রকল্প। বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জনজীবনে মারাত্মক হুমকীর সৃষ্টি হচ্ছে। চরাঞ্চলগুলো নদী বেষ্টিত এবং মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যোগাযোগ ও উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। চরের এই ভৌগলিক বিপর্যয় এবং মূল-ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্নতা ব্যাপক প্রভাব ফেলে যোগাযোগ, বাজার ব্যবস্থাপনা তথা চরগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর। তদুপরি, চরগুলো অনেকগুলি কৃষি ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সম্ভাবনাকে আকড়ে ধরে আছে। যার ফলে চরগুলো শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত। উৎপাদিত খাদ্য শস্যই স্থানীয় বাসিন্দাদের আয়ের অন্যতম উৎস এবং কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের কর্ম সংস্থানের নিরাপদ ক্ষেত্র। কিন্তু চরাঞ্চলে টেসই বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যার্যমুল্য নিশ্চিত হচ্ছে না ফলে চরবাসী দিন দিন চরম দারিদ্রতা, অনিশ্চয়তা এবং বিপর্যয়সহ প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য
M4C প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের নির্দিষ্ট কিছু জেলার চরে বসবাসকারীদের দারিদ্রতা ও বিপর্যয় হ্রাস করা। Chars Livelihoods Programme (CLP)-এর সম্পদ হসত্মামত্মর কার্যক্রমের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চর উৎপাদকদের কর্মকান্ডকে দৃঢ় ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্প এলাকাঃ দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের মোট ১০টি জেলার (বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারি, টাঙ্গাইল এবং পাবনা) চরাঞ্চল।
অনুমোদিত প্রকল্প বরাদ্দ: ৯২৬২.৮৫ লক্ষটাকা (প্রকল্প সাহায্য- ৭৮৯৯.৮৫; জিওবি-১৩৬৩ লক্ষ)
- চরাঞ্চলে উৎপাদিত পণ্যের (ভূট্টা, মরিচ, পাট) উৎপাদন ও উৎর্ষতা সাধনে সংশিস্নষ্ট বিষয়ে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে উন্নত জাত, উৎপাদন পদ্ধতি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সম্প্রসারণ।
- মূল চরাঞ্চলের যোগাযোগ সুবিধা উন্নয়নে ঘোড়ার গাড়ী প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগ উন্নয়নসহ কর্মসংস্থান;
- নদীর উভয় তীরে ভাসমান ঘাট সম্প্রসারনের সুযোগ সৃষ্টি ও তা উন্নয়নে স্থানীয় উদ্যোক্তা সৃষ্টি; এবং
- দ্রম্নতগতি সম্পন্ন নৌকা তৈরীর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জীবাকায়নসহ চরের উৎপাদিত পণ্যের বাজার নিশ্চিতকরণ।
প্রকল্প মেয়াদ |
: |
০১ মে ২০১৩ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত। |
প্রকল্প এলাকা |
: |
দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের মোট ১০টি জেলার (বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারি, টাঙ্গাইল এবং পাবনা) চরাঞ্চল। ২০১৬-১৯: ০৩ টি জেলা (গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ ও কুড়িগ্রাম) |
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য |
: |
প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের নির্দিষ্ট কিছু জেলার চরে বসবাসকারীদের দারিদ্রতা ও বিপর্যয় হ্রাস করা। |
অনুমোদিত প্রকল্প বরাদ্দ |
: |
৯২৬২.৮৫ লক্ষ টাকা (প্রকল্প সাহায্য- ৭৮৯৯.৮৫ লক্ষ; জিওবি-১৩৬৩.০০ লক্ষ) |
নভেম্বর/২০ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় এবং বাস্তব ও আর্থিক অগ্রগতি (%) |
: |
৯২৪১.২৬ লক্ষ টাকা (প্রকল্প সাহায্য-৭,৮৯৭.২৪ লক্ষ; জিওবি-১,৩৪৪.০২ লক্ষ) এবং বাস্তব অগ্রগতি- ৯৯.০০% ও আর্থিক অগ্রগতি- ৯৬.০৯%। |
২০১৯-২০ অর্থবছরে ডিসেম্বর/১৯ পর্যন্ত ব্যয় |
: |
৪৫৬.০০ লক্ষ টাকা (প্রকল্প সাহায্য- ৩৪০.০০ লক্ষ; জিওবি- ১১৬.০০ লক্ষ)। |
প্রকল্পের মূল কার্যক্রম |
: |
|
উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি |
: |
|
পর্যবেক্ষণ |
: |
M4C প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা লাঘবে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এ কার্যক্রম চর এলাকায় অব্যহত রাখতে SDC ও বাংলাদেশ সরকার পুনরায় 7.50 মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর পূর্বক M4C-২য় পর্যায় প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। |
(www.rda.gov.bd or (https://goo.gl/fEsWev)
1. Producer Group Members Database Summary
2. Producer Group Members Database_Details
বিভিন্ন ফল উৎপাদনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান
চরে উৎপাদিত মরিচ
চরে ভূট্টা উৎপাদন, মাড়াই ও শুকানো ব্যবস্থাপনা
চরে পাট উৎপাদন
চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন
নদী পথে পণ্য পরিবহণ ও যাতায়াতের জন্য উন্নত ঘাট তৈরী
নদী পথে যাতায়াতের জন্য উন্নত নেৌকা তৈরী
চরে চলাচলের জন্য চর উপযোগী নছিমন (চরের গাড়ী) তৈরী
চরে চলাচলের জন্য ঘোড়ার গাড়ী
চরের মহিলাদের হ্যান্ডি ক্রাফট কার্যক্রম