Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ জুন ২০২১

মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব খলিল আহমদ-এর “নামুজা সোলার উপপ্রকল্প” পরিদর্শন


প্রকাশন তারিখ : 2021-06-28

পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়া পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ /স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে পাঁচ বছর মেয়াদে (জুলাই - ২০১৭ হতে জুন- ২০২২ পর্যন্ত) ‘‘সৌর শক্তি নির্ভর সেচ পদ্ধতি ও এর বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’’ শীর্ষক প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের মূল দর্শন। আলোচ্য প্রকল্পের মাধ্যমে সোলার পাম্প থেকে উত্তোলনকৃত পানি সেচের পাশাপাশি খাওয়া ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারসহ পানির বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় দেশের ৮টি বিভাগের ৩২টি জেলার মোট ৩৫টি এলাকায় সৌরশক্তি নির্ভর সেচ পদ্ধতি ও এর বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বগুড়া জেলার সদরের “নামুজা সোলার উপপ্রকল্প”, পরিদর্শন অদ্য ২৮ জুন ২০২১ করছেন আরডিএ, বগুড়ার মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব খলিল আহমদ। পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব মোঃ ফেরদৌস হোসেন খান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ); যুগ্মপরিচালক জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন আরডিএ, বগুড়া এবং স্থানীয় নামুজা ইনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব রাসেল মামুন প্রমুখ। স্থানীয় এনজিও “নামুজা বাজার দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসংস্থা” উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়জিত রয়েছেন। উক্ত উপপ্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে নিম্নবর্ণিত সুযোগসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে:

সোলার প্যানেল সিন্টেম ও দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি মডেল

১২ কিলোওয়াট সোলার প্যানেল (প্রতিটি ৩২৫ ওয়াট, ১৮.২০% ক্ষমতা সম্পন্ন) ৪ ইঞ্চি ব্যাসের এমএস পাইপের খুটি সিসি ঢালাই দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত খুটির মাথায় সোলার প্যানেলগুলিকে এমএস এ্যাংগেলের (৭ ফুট × ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি সাইজের) ফ্রেমের সাথে এ্যাংগেলবার দিয়ে মজবুতভাবে Scattered পদ্ধতিতে (ফসলকে দীর্ঘ সময় ছায়ামুক্ত রাখতে) স্থাপন করে ইলেকট্রিক কেবল নেটওয়ার্কিং করে সৌরশক্তি আউটপুন গ্রহণ করে ০.৫ কিউসেক অটোমেটিক অগভীর নলকূপ চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সিন্টেম এর সাথে (সৌরপ্যানেল ট্রাকচারের খুটির সাথে) জাংলা দিয়ে দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি মডেল নির্মিত হয়েছে।

 

দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তির প্রভাব

একই সময়ে একই জমিতে ভিন্ন উচ্চতার দুইটি ভিন্ন ধরণের ফসল ফলানোর প্রক্রিয়াই দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি।  দ্বি-স্তর পদ্ধতি প্রচলনের মাধ্যমে ধানের উৎপাদন ব্যহত না করে একই সাথে একই জমিতে মাচা/জাংলায় লাউ চাষের মাধ্যমে অতিরিক্ত আয় করা সম্ভব হচ্ছে।

ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালা ও কাঠামোঃ উপপ্রকল্প এলাকার আবাদি জমিতে সেচ প্রদানের জন্য ২৫০০ ফুট (৬ ইঞ্চি ব্যাসের পিভিসি পাইপ) ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালা এবং পাইল লাইন নেটওয়ার্কের সাথে নির্দিষ্ট দুরুত্বে ১০টি রাইজার পয়েন্ট (সেচ পানি বিতরণ পয়েন্ট) নির্মাণ করে জমিতে উন্নত সেচ ব্যবস্থাপনা কাঠামো নির্মিত হয়েছে। ফলে ভূ-গর্ভস্থ আধুনিক সেচ পদ্ধতির মাধ্যমে পানি সম্পদের অপচয় হ্রাসসহ পুরো সেচ মৌসুমে পর্যাপ্ত সেচ প্রদানের মাধ্যমে কাঙ্খিত উৎপাদন নিশ্চিত হচ্ছে। উপপ্রকল্প এলাকায় গড়ে ৯০-১০০ বিঘা জমিতে সেচ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। সেচ মৌসুম ছাড়াও বছরব্যপী শাক-সব্জি ও অন্যান্য ফসলে প্রয়োজনীয় সেচ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে।  সুফলভোগী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপকদের মাধ্যমে জানা যায় ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালা স্থাপনের ফলে ৯৫% সেচ পানি অপচয় রোধ করে দ্রুত সেচ দেয়া যায়।

খাবার পানি সরবরাহ পাইপ লাইন নেটওয়ার্ক : এ উপপ্রকল্প এলাকা বসতবাড়িতে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ৯ ফুট × ৯ ফুট সাইজের ২২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আরসিসি স্টাকচার নির্মাণপূর্বক ১০,০০০ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন (পিভিসি) ওভারহেড ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। সেই সাথে ওভারহেড ট্যাংক থেকে উপ-প্রকল্প এলাকার পার্শ্ববর্তী গ্রাম/মহল্লায় বিভিন্ন (৪, ৩, ২, ১, ৩/৪ ইঞ্চি) ব্যাসের ৪৫ – ৬০ হাজার ফুট পাইপ লাইন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। ফলে উপপ্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক ভাবে ৪০-৫০ টি পরিবারের মাঝে পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সাথে গৃহস্থালি কাজসহ এবং ডেইরী, পোল্টি, মৎস্যচাষ, নার্সারি ইত্যাদি উৎপাদনমূলক বহুমূখী কাজে ব্যবহার করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।