পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া’র প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণার প্রায় তিন দশক ধরে অর্জিত সাফল্যসমূহ দেশব্যাপী মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ, জনপ্রিয়করণ ও ধারাবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত উন্নয়নে গবেষণার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রেও একাডেমী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে খ্যাতি অর্জন করেছে।
গবেষণা ও অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে─গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার মানোন্নয়ন, পল্লী উন্নয়নের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিতকরণ, নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমস্যা চিহ্নিতকরণ, তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক ক্ষমতায়ন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার তৃণমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্ব বিকাশ, সামাজিক বনায়ন, পল্লী এলাকার শিশুদের উন্নয়ন, স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরুপণ, পল্লী এলাকায় বিশেষতঃ যুবসমাজের নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা, পল্লী শিক্ষা, গ্রামীণ জনস্বাস্থ্য, যৌতুক ও নারী নির্যাতন, এবং মাদকাশক্তির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতা, কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্র উদ্যোগ সৃষ্টি, সরকারী/এনজিও এর বিভিন্ন কর্মসূচী/প্রকল্প মূল্যায়ন, ইত্যাদি। এছাড়া, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDG), পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনা, Perspective Plan-এ দারিদ্র বিমোচন কৌশলের আলোকে সরকারের অগ্রাধিকার বিষয়সমূহকে বিবেচনায় রেখে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। আর্থ-সামাজিক গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে শুধু পল্লী উন্নয়নই নয় পল্লী উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত নীতি নির্ধারক ও গবেষক পর্যায়ে পরামর্শ প্রদান করা হয়।
উল্লেখিত কর্মকান্ড ছাড়াও আর্থ-সামাজিক অন্যান্য কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক, টেকসই ও পল্লী উন্নয়নে সুদূর প্রসারী ভূমিকা রাখার জন্য পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া’র প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে ‘‘Centre for Community Development (CCD)’’ শিরোনামে নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যকে লক্ষ্য রেখে একটি বিশেষায়িত কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করা হলে ২০১২ সালে একাডেমীর ৪১তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সিসিডি প্রতিষ্ঠিত হয়।
উদ্দেশ্যঃ
এ কেন্দ্রটি পরিচালনা করার উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নরূপঃ