বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে জুলাই- ২০১৭ হতে জুন- ২০২২ মেয়াদী একটি চলমান প্রকল্প। দেশের ক্রমবর্ধমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা নিরসন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার নির্ভর সেচ সুবিধা ও দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ নিমিত্ত আরডিএ, বগুড়ার রিনিএ্যাব এনার্জি রিসার্চ সেন্টার (আরইআরসি) আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মূল উদ্দেশ্য
সৌরশক্তি নির্ভর গভীর নলকূপ স্থাপন এবং দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তির বিস্তার/ সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোসহ একরপ্রতি ফলন বৃদ্ধি ও দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ ঘাটতি রোধ এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভার কার্যবিবরণীসমূহ:
১। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ১ম সভার কার্যবিবরণী।
২। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম সভার কার্যবিবরণী।
প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যাবলী নিম্নরূপ-
ক) সরাসরি সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দিনের বেলায় সেচ পাম্প পরিচালনা করে দেশের সেচ কাজে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার সাশ্রয় করা;
খ) সৌরশক্তি চালিত গভীর নলকূপের পানি বহুমুখী (ফার্ম ও নন-ফার্ম কাজে) কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার উপকারভোগীদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো;
গ) আরডিএ-উদ্ভাবিত (সোলার সিস্টেম) মডেলে সৌর প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে জমির অপচয় রোধ করা;
ঘ) একই জমিতে একই সময় বিভিন্ন ধরণের ফসল (দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তিতে) চাষাবাদের মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি;
ঙ) আরডিএ উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেচ খরচসহ উৎপাদন ব্যয় কমানো এবং পানি সম্পদের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ; এবং
চ) প্রকল্পের সুফলভোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিনোত্তর আরডিএ ঋণ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে প্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।
প্রকল্প এলাকা
দেশের ৮টি বিভাগের ৩২টি জেলার মোট ৩৫টি এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক প্রকল্প এলাকা নিম্নরূপ-
ঢাকাঃ গোপালগঞ্জ-১, ফরিদপুর-১, মানিকগঞ্জ-১, গাজিপুর-১ |
রাজশাহীঃ রাজশাহী-১, নওগাঁ-১, বগুড়া-২, সিরাজগঞ্জ-১ |
খুলনাঃ খুলনা-২, বাগেরহাট-১, সাতক্ষিরা-১, কুষ্টিয়া-১ |
চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম-১, লাক্সমিপুর-১, কুমিল্লা-১, ফেনি-১, কক্সবাজার-১ |
বরিশালঃ বরিশাল-১, ভোলা-১, ঝালোকাঠি-১, বরগুণা-১, পটুয়াখালি-১ |
সিলেটঃ সিলেট-২, হবিগঞ্জ-১, মৌলভীবাজার-১, সুনামগঞ্জ-১ |
রংপুরঃ পঞ্চগড়-১, রংপুর-১, লালমনিরহাট-১, কুড়িগ্রাম-১, গাইবান্ধা-১ |
ময়মনসিংহঃ নেত্রকোনা |
মূল কার্যক্রম
সৌরশক্তি নির্ভর গভীর (০.৫-১ কিউসেক) নলকূপ স্থাপন;
প্রকল্পের সংপ্তি পটভূমি
সভ্যতার পথ পরিক্রমায় শক্তির সংকট আজ অনস্বীকার্য। প্রাকৃতিক শক্তির আধারগুলো ক্রমেই নিঃশেষিত হয়ে আসছে তাই নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ছাড়া কার্যকর উন্নয়ন সম্ভব নয়। নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে প্রধান সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস ইত্যাদি। দেশে সূর্যালোকের প্রাচূর্য্য সত্ত্বেও সৌরশক্তিকে সংরক্ষণ করে রাত্রিকালীন বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন ব্যয় সাপেক্ষ হওয়ায় আমাদের দেশে সৌরশক্তির ব্যবহার খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। সম্প্রতি সৌরশক্তিকে সরাসরি ব্যবহারের মাধ্যমে দিনের বেলায় সেচ পাম্প পরিচালনা আশাব্যঞ্জক হলেও সৌর প্যানেল স্থাপনে কৃষি জমি অপচয় হওয়ায় এটি তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। এসকল দিক বিবেচনায় আরডিএ Two-storied agriculture with solar power irrigation মডেল উন্নয়নের মাধ্যমে জমির অপচয় ব্যতীরেকে ১৬-২০ একর (প্রায় ৫০-৬০ বিঘা) জমি সেচ সুবিধার আওতায় আনয়ন সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের মাধ্যমে সোলার পাম্প থেকে উত্তোলনকৃত পানি সেচের পাশাপাশি খাওয়া ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের ব্যবস্থা সুযোগ সৃষ্টি করা হবে এবং পানিকে বিভিন্ন উৎপাদনমূখী কাজে ব্যবহার করা হবে। এ প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সেচের ও অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ শক্তি সাশ্রয়ে সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। দেশের ক্রমবর্ধমাণ বিদ্যুৎ চাহিদা নিরসন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার নির্ভর সেচ সুবিধা ও দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ দেশের বর্তমান প্রোপটে খুবই জরুরী।
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, অলাভজনক ধান চাষ, ধান চাষে অধিক পানির ব্যবহার (প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে প্রায় ৩-৪ টন পানি ব্যবহার) এবং ক্রমহ্রাসমান আবাদি জমি, পরস্পর বিরোধী এই সকল বাস্তবতার আলোকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ হুমকির সম্মুখীন। এছাড়া সূর্যালোকের প্রাচূর্য্য এ দেশের জন্য এক বিরাট আশির্বাদ যা সহায়ক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে যেমন- সৌরশক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরে মাধ্যমে (সেচ পাম্প পরিচালনা, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতায়ন ইত্যাদি) জাতীয় গ্রীডের ক্রমবর্ধমান বৈদ্যুতিক চাপ হ্রাসকরণ সম্ভব। সেচ কাজে সৌরশক্তি ব্যবহার করে ধান চাষাবাদকে লাভজনক করার ল‡ÿ ফসলের নিবিড়তা বহুগুণে উন্নীত করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে এগ্রোনমি ও এ্যাষ্ট্রোনমি অর্থাৎ কৃষিতত্ত্ব ও জৌতির্বিদ্যার সমন্বয়ে সূর্যালোকের কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে সৌর চালিত সেচ প্রযুক্তি, বেড নালা পদ্ধতিতে ফসল চাষসহ দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি প্রচলন করা গেলে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের পাশাপাশি লাভজনক ধান চাষকে দ্রুত লাভজনক পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে বর্তমানে ফসলের নিবিড়তা ১৮১%। দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি মডেল ব্যবহার করে খুব সহজেই নিবিড়তাকে দুই-তিন গুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এছাড়া বেড পদ্ধতিতে ফসল চাষের ফলে উৎপাদনের উপকরণ সাশ্রয়সহ অতিরিক্ত ১১%-১৪% উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব। সুদূর প্রসারি প্রভাব হিসেবে দারিদ্র বিমোচন এবং কৃষকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আরডিএ উদ্ভাবিত এই মডেল কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম হবে।
দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি
একই সময়ে একই জমিতে ভিন্ন উচ্চতার দুইটি ভিন্ন ধরণের ফসল ফলানোর প্রক্রিয়াই দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি। প্রযুক্তিটির মুল ধারনার (concept) প্রবর্তক কৃষিবিদ জনাব মোঃ জাফর সাদেক।তার এই উদ্ভাবনীর উপর পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া বিগত কয়েক বছর যাবৎ মাঠ পর্যায়ে গবেষণা পরিচালনার মাধ্যমে টেকস্ই প্রযুক্তি হিসেবে গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে একাডেমীর প্রদর্শনী খামারে তার উদ্ভাবিত এ প্রযুক্তির উপর পুনরায় প্রায়োগিক গবেষণা পরিচারনার মাধ্যমে সৌরপ্যানেল স্থাপন করে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করে সৌরশক্তিতি নির্ভর দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি মডেল উদ্ভাবন করে। প্রযুক্তিটির সফলতা বিবেচনায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া সরকারীভাবে সরকারীভাবে প্রকল্প গ্রহণ করে কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তিটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
মডেলে/প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্যসমূহ
আমরা সাধারণতঃ সেচসহ খাবার পানি ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের জন্য ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল। ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন জাতীয় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে করে পানির এ চাহিদা মেটানো হচ্ছে। ফলে দিন দিন বিদ্যুৎ ঘাটতি ও লোড শেডিং জাতীয় জীবকে বিপর্যন্ত করে তুলেছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে সেচসহ দৈনন্দিন খাবার পানি ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় পানি উত্তোলনে সম্পূর্ণরূপে সৌর শক্তি ব্যবহার করা হবে। যা দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এছাড়াও স্থাপিত সোলার প্ল্যান্ট হতে পার্শ্ববর্তী গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে। ফসলের নীবিড়তা বৃদ্ধিতে দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি (প্রচলিত পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি সাথি ফসল হিসেবে মাচায় উচ্চফলনশীল সব্জি চাষের প্রচল) ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে প্রস্তাবিত প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রম
প্রস্তাবিত প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের নিমিত্ত নিম্নিবর্ণিত মূল কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে-
উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিঃ
খাদ্য নিরাপত্তা ও এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিতকরণ প্রকল্পের মূল দর্শন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে মোট ৩৯৮৯.০০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জুলাই- ২০১৭ হতে ৩০ জুন- ২০২২ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন ছিল। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা নিরসন ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার নির্ভর সেচ সুবিধা ও দ্বি-স্তর কৃষি প্রযুক্তি দেশের ৮টি বিভাগের ৩২টি জেলার মোট ৩৫টি এলাকায় বাস্তবায়োনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মোট ২৭টি এলাকায় বাস্তবায়োন করা হয়েছে। বিস্তারিত......
বিভাগ ভিত্তিক বাস্তবায়িত উপপ্রকল্প এলাকার তালিকাঃ
ক্রঃ নং |
অর্থ বছর |
উপ-প্রকল্পের নাম |
উপজেলা |
জেলা |
---|---|---|---|---|
১ |
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২টি |
চরণদ্বীপ সোলার উপ-প্রকল্প |
বোয়ালখালী |
চট্টগ্রাম |
২ |
মীরকামারী সোলার উপ-প্রকল্প |
পবা |
রাজশাহী |
|
৩ |
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৫টি |
মাধইল সোলার উপ-প্রকল্প |
নিয়ামতপুর |
নওগাঁ |
৪ |
ফতেহপুর (৩য় খন্ড) সোলার উপ-প্রকল্প |
গোয়াইনঘাট |
সিলেট |
|
৫ |
মধ্যনগর নয়াপড়া সোলার উপ-প্রকল্প |
বিশ্বম্ভরপুর |
সুনামগঞ্জ |
|
৬ |
ইকরচালী সোলার উপ-প্রকল্প |
তারাগঞ্জ |
রংপুর |
|
৭ |
জয়পুর সোলার উপ-প্রকল্প |
ছাগলনাইয়া |
ফেনী |
|
৮ |
২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৭টি |
বানিয়াচং সোলার উপ-প্রকল্প |
চান্দিনা |
কুমিল্লা |
৯ |
ছোট ঘিওর সোলার উপ-প্রকল্প |
মানিকগঞ্জ |
মানিকগঞ্জ |
|
১০ |
কোদন্দা সোলার উপ-প্রকল্প |
আশাশুনি |
সাতক্ষিরা |
|
১১ |
চরখলিফা সোলার উপ-প্রকল্প |
দৌলতখান |
ভোলা |
|
১২ |
নামুজা সোলার উপ-প্রকল্প |
বগুড়া |
বগুড়া |
|
১৩ |
হাজীপুর সোলার উপ-প্রকল্প |
কুলাউড়া |
মৌলভীবাজার |
|
১৪ |
বামুনিয়া সোলার উপ-প্রকল্প |
শাজাহানপুর |
বগুড়া |
|
১৫ |
২০২০-২১ অর্থ বছরে ৬টি |
মাইঠা সোলার উপ-প্রকল্প |
মাইঠা |
বরগুণা |
১৬ |
চামটা সোলার উপ-প্রকল্প |
ঝালকাঠি |
ঝালকাঠি |
|
১৭ |
সাজিদ সোলার উপ-প্রকল্প |
পঞ্চগড় |
পঞ্চগড় |
|
১৮ |
মেন্দিপুর সোলার উপ-প্রকল্প |
খালিয়াজুরী |
নেত্রকোণা |
|
১৯ |
রাঙ্গামাটি সোলার উপ-প্রকল্প |
পলাশবাড়ী |
গাইবান্ধা |
|
২০ |
সুন্দরগ্রাম সোলার উপ-প্রকল্প |
রাজার হাট |
কুড়িগ্রাম |
|
২১ |
২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭টি |
সেনপাড়া সোলার উপ-প্রকল্প |
লালমনিরহাট |
লালমনিরহাট |
২২ |
মাজিহাট সোলার উপ-প্রকল্প |
মিরপুর |
কুষ্টিয়া |
|
২৩ |
তেঁতুলতলা সোলার উপ-প্রকল্প |
বটিয়াঘাটা |
খুলনা |
|
২৪ |
পুটিমারী সোলার উপ-প্রকল্প |
বটিয়াঘাটা |
খুলনা |
|
২৫ |
গাড়লগাতী সোলার উপ-প্রকল্প |
মুকসুদপুর |
গোপালগঞ্জ |
|
২৬ |
ইকড়াইল সোলার উপ-প্রকল্প |
আলফাডাঙ্গা |
ফরিদপুর |
|
২৭ |
কয়ের সোলার উপ-প্রকল্প |
গাজীপুর সদর |
গাজীপুর |
প্রশিক্ষণ
বাস্তবায়নাধীন ২০টি উপপ্রকল্প এলাকার ১৯৫০ সুফলভোগী সদস্যকে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের বিবরণ নিম্নোক্ত সারণীতে প্রদত্ত হলোঃ
সারণীঃ ১ প্রশিক্ষণের বিবরণ-
প্রশিক্ষণ |
লক্ষ্যমাত্রা |
অর্জন |
ফার্মার্স ফিল্ড স্কুল প্রশিক্ষণ কোর্স |
৩৫ ব্যাচ (প্রতি ব্যাচে ৮০ জন) |
২৭ ব্যাচ ৮০ = ২১৬০ জন |
খামার পর্যায়ে পানি ব্যবস্হাপনা প্রশিক্ষণ কোর্স |
২২ ব্যাচ (প্রতি ব্যাচে ৩০ জন) |
১৭ ব্যাচ ৩০= ৫১০ জন |
সোলার সিস্টেম অপারেশন এন্ড মেইনটেনেন্স প্রশিক্ষণ কোর্স |
১০ ব্যাচ (প্রতি ব্যাচে ৩০ জন) |
৭ ব্যাচ ৩০=২১০ জন |
গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন ও প্রাথমিক চিকিৎসা এবং বায়ো-গ্যাস প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রশিক্ষণ কোর্স |
১০ ব্যাচ (প্রতি ব্যাচে ৪০ জন) |
৬ ব্যাচ ৪০=২৪০ জন |
উন্নত মৎস্য চাষ প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রশিক্ষণ কোর্স |
৫ ব্যাচ (প্রতি ব্যাচে ৩০ জন) |
৫ ব্যাচ ৩০=১৫০ জন |
মোট - ৩২৭০ জন (পুরুষ- ৫৭.২৩% ও মহিলা- ৪২.৭৭%) |
প্রদত্ত প্রশিক্ষণের আলোক চিত্র:
সীড ক্যাপিটাল বিতরণ
প্রকল্পের আওতায় উপপ্রকল্পের সুফলভোগীদের জন্য বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য প্রতিটি উপপ্রকল্পের জন্য টাকা ১৬.০০ লক্ষ সীড ক্যাপিটাল হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে। ইতোমধ্যে ২৭টি উপ-প্রকল্পের সুফলভোগীদের অতিরিক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আরডিএ ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে টাকা-৪৩২.০০ লক্ষ সীড ক্যাপিটালের অর্থ স্ব-স্ব উপপ্রকল্পের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা করে ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঋণ কার্যক্রম আরডিএ, বগুড়া'র সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (সিআইডব্লিউএম) এর ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
অনুমোদিত প্রকল্প বরাদ্দ |
: |
৩৯৮৯.০০ লক্ষ টাকা |
২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দ |
: |
৬১০.০০ লক্ষ টাকা |
চলতি অর্থ বছরের জুন ২০২২ পর্যন্ত ব্যয় |
: |
৫৯৯.২০ লক্ষ টাকা |
জুন ২০২২ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় |
: |
৩০৬৮.৬০ লক্ষ টাকা। বাস্তব অগ্রগতি ৮৬.৬৭% এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৬.৯৩%। |
জনাব এস এম হামিদুল হক, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক উপপ্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন।