দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, খাদ্য নিরাপত্তা এক কথায় উন্নয়নের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ-কৃষি। কৃষি নির্ভর অর্থনীতির কারণে কৃষি উন্নয়ন এবং পল্লী উন্নয়কে প্রায়শই সমার্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কৃষি উৎপাদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বীজ-যা ছাড়া আমাদের অস্তিত্বকে কল্পনা করা অসম্ভব। অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই মৌলিক উপকরণের সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। এদেশে কৃষিতে যে বীজ ব্যবহার হয় তার সর্বোচ্চ ২০% আনুষ্ঠানিক উৎস থেকে সরবরাহ হয়। অবশিষ্ট ৮০% বীজ আসে কৃষকের বাড়িতে সংরক্ষিত ফসলের অংশ থেকে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে কৃষকের বাড়িতে সংরক্ষিত এ সকল বীজের মান খুবই দূর্বল যা থেকে আশানুরূপ ফলন পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। অথচ শুধুমাত্র মানসম্পন্ন বীজ এককভাবে ২০% পর্যন্ত ফলন বাড়াতে পারে এবং দেশের অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা সহ সার্বিকভাবে পল্লী উন্নয়নে এনে দিতে পারে অভূতপূর্ব সাফল্য।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া নব্বই দশকের শুরু থেকে কৃষক কেন্দ্রিক বীজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে একাধিক প্রায়োগিক গবেষণা বাস্তবায়ন করে আসছে এবং দীর্ঘ এক যুগের গবেষণা ফসল মারিয়া বীজ প্রযুক্তি মডেল-ইতোমধ্যে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নের একটি কার্যকর মডেল হিসেবে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক অংগনে প্রশংসিত এবং ব্যবহৃত হচ্ছে।
বর্ণিত সাফল্য ও সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে বিগত ১৬-১৭ জুলাই, ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমীর বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে আগত দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞ, নীতি-নির্ধারক, একাডেমীশিয়ানগণ সর্বসম্মতভাবে ইতোপূর্বে স্থাপিত সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনার কেন্দ্রের আদলে পর্যায়ক্রমে একটি বীজ প্রযুক্তি কেন্দ্র (Seed and Bio-techonology Centre) গড়ে তোলার বিষয়ে সুপারিশ করেন।
এ সকল সহযোগিতা ও সমন্বয়ের পেক্ষাপটে আরডিএ’র টিস্যুকালচার ইউনিট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইতোমধ্যে দেশের নেতৃত্ব স্থানীয় বীজ প্রযুক্তি সম্ভাবানাময় ক্ষেত্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এ সকল খ্যাতি ও সাফল্যসমূহ মাঠ পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণ, জনপ্রিয়করণ এবং ধারাবাহিকতা রক্ষা তথা প্রাতিষ্ঠানিক ও টেকসই করার লক্ষ্যে একাডেমীর ৪০তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের আলোকে একাডেমীতে সীড এন্ড বায়োটেকনোলজি সেন্টার (SBC) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিস্তারিত.....