কৃষি নির্ভর এবং জনবহুল বাংলাদেশে মুরগি পালন এমন একটি ব্যবসা যেখানে স্বল্প সময় ও বিনিয়োগের মাধ্যমে সহজেই স্ব-নির্ভর হওয়া সম্ভব। মুরগির মাংস ও ডিম আমিষ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর ও সু-স্বাদু খাদ্য হিসেবে বাংলাদেশে সমাদৃত। আডিএ’র প্রদর্শনী খামারে মুরগি পালনের বিষয়ে পরিচালিত ব্যবহারিক কর্মকান্ডগুলি পল্লীর বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের মাঝে প্রশিক্ষণ প্রদান ও স্ব-কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখছে। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অনেকে বসতবাড়ীর আঙ্গিনায় ডিম পাড়া মুরগির পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির পালন করে সফলতা পাওয়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামার স্থাপন করছেন।
০১ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে ৩১ আগস্ট, ২০২১ পর্যন্ত একাডেমী’র পোল্ট্রি ইউনিটের আওতায় প্রায় ৭৫০০টি উন্নতমানের দেশী এবং ১০০০টি টাইগার মুরগী উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করা হয়েছে। এই ইউনিটের পরিচালনায় কমিউনিটি ভিত্তিক দেশী মুরগী পালনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে পাশ্ববর্তী রণবীরবালা ও রামনগর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী দেশী মুরগী পালনের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে সফলতা অর্জন করছে। বর্তমানে দুটি গ্রামসহ শেরপুর উপজেলার প্রায় সকল গ্রামের নারীরা কমিউনিটি ভিত্তিতে দেশী মুরগী পালন করছে এবং এই প্রক্রিয়াটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যা সমগ্র দেশে বিস্তার লাভ করেছে। এছাড়াও পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিবেদনাধীন সময়ে ৬০ জন গ্রামীণ নারীকে আধুনিক পদ্ধতিতে দেশী মুরগী পালনে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। পোল্ট্রি ইউনিটের আওতায় দেশী মুরগির পালন ও বিস্তারের লক্ষ্যে নতুন দুটি সেড নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে দেশি মুরগি পালন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খামারী পর্যায়ে দেশি মুরগীর বাচ্চা সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি হ্যাচারি স্থাপন করা হয়েছে যেখানে একদিন বয়সের বাচ্চা উৎপাদন এবং খামারীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
* পোল্ট্রি ইউনিটের মাধ্যমে ইন্টার্নশীপ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক খামার ও হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা এবং পোলট্রি পালন বিষয়ক ইন্টার্নশীপ প্রদান করা হয়। এছাড়াও সেলফ হেলফ গ্রুপ মডেলের আওতায় ১২ জনকে আধুনিক পদ্ধতিতে ব্রয়লার পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছ।